,

সারাদেশে ঈদুল আযহা উদযাপিত হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারা দেশে মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) উদযাপিত হচ্ছে। তবে আজ সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই ঈদের খুশিতে বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। এর ফলে ঈদের খুশি ও পশু কোরবানিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।

ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে শত ক্লান্তি মাড়িয়ে হলেও শহরের মানুষ ফেরে গ্রামের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনের কাছে। ঈদের দিন ভোরে পরিচ্ছন্ন পোশাক পরে বৃষ্টি বাধা উপেক্ষা করে ঈদগাহে যায় মানুষ। ঈদের জামাতের পর খুতবায় ইমামরা হজরত ইবরাহিম (আ.) ও হজরত ইসমাঈল (আ.)-এর কোরবানির অমর কাহিনি বয়ান করেন। 
ব্যক্তি, সমাজ, দেশ, মুসলিম উম্মাহ এবং সারা বিশ্বের শান্তি ও কল্যাণ কামনায় দোয়া করা হয়। জামাত শেষে কোলাকুলি করে প্রকাশ করা হয় পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা।ঈদগাহ থেকে বাড়ি ফিরে সামর্থ্যবান মুসলমানরা পশু কোরবানি করেন। ধর্মীয় নির্দেশনা অনুযায়ী মাংস ভাগ করে দেওয়া হয় আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও অসহায় মানুষের মাঝে।

ক্রেতারা হাট থেকে পছন্দের পশু কিনে গলায় জরির মালা, শিংয়ে রাংতা পরিয়ে বাসায় নিয়ে যান। পশুর হাঁকডাক, যত্ন-আত্তি নিয়ে মানুষের ছোটাছুটি নাগরিক পরিবেশে সৃষ্টি করে অন্য এক আবহ।

এদিকে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, ‘মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানি আমাদের মধ্যে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মনোভাব ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে পবিত্র ঈদুল আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করার আহবান জানান। তিনি সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ নিয়ে বৈষম্যহীন, সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহবান জানান।

এই বিভাগের আরও খবর